অনলাইনে জিডি করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আজকের পোস্টে। একটা সময় ছিল যখন থানায় গিয়ে সরাসরি জিডি করতে হতো। কিন্তু বর্তমানে সময়ে আপনি ঘরে বসে অনলাইনে জিডি করতে পারবেন।
আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করবো। কিভাবে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে অনলাইনে জিডি করবেন। তাছাড়াও কোন কোন কারণে আপনাকে থানায় যেতে হবে ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
অনলাইনে জিডি করার নিয়ম
অনলাইনে জিডি করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে Online GD অ্যাপের ভিতরে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তাহলে অনলাইনে জিডি করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার মোবাইলের ডাটা সংযোগ চালু করুন। তারপর আপনার মোবাইলে থাকা Google play store অ্যাপটি ওপেন করুন এবং সার্চ অপশনে Online GD লিখে সার্চ করুন। এখন সার্চ রেজাল্টে আসা Online GD অ্যাপটি ইনস্টল করুন।
এখন অ্যাপটি সম্পূর্ণ ইনস্টল হওয়ার পরে অ্যাপসটিতে প্রবেশ করুন। তারপর অ্যাপটি কোনো পারমিশন চাইলে Allow করে দিন। এখন অ্যাপসটিতে প্রবেশ করতে প্রথমেই দুটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- নিবন্ধন এবং
- প্রবেশ করুন
এখন আপনি নিবন্ধন অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে আবারো Google play store নিয়ে আসবে। এখন আপনাকে আরোও একটি অ্যাপ ইন্সটল করতে হবে। সাধারণত, অনলাইন GD করার জন্য দুটি অ্যাপ্লিকেশন এর সাহায্য নিতে হবে। তাই অ্যাপ্লিকেশন দুটি ইনস্টল করে নিন।
তাহলে আপনি Google gd দ্বিতীয় অ্যাপটি ইনস্টল করুন। সাধারণত, Google gd দুটি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। যেকোন একটি এপ্লিকেশন ব্যবহার করে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং একটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে জিডি করতে হবে। এখন অনলাইনে জিডি করার জন্য আপনাকে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে gd অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।
অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম
অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য দ্বিতীয় অ্যাপসটিতে (Google gd) প্রবেশ করুন। তাহলে আপনার সামনে নতুন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে। এখন আপনি ‘নিবন্ধন’ অপশনে ক্লিক করুন।
তাহলে পরবর্তী ধাপে দুটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এবং
- জন্ম তারিখ
তাহলে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এবং জন্ম তারিখ সঠিকভাবে লিখুন। এখন জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এবং জন্ম তারিখ লেখা হয়ে গেলে নিচে থেকে ‘পরিচয় পত্র যাচাই’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম, আপনার জন্ম তারিখ, আপনার পিতার নাম এবং আপনার মাতার নাম চলে আসবে।
এখন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের সকল তথ্য সঠিক থাকলে ‘তথ্য সঠিক হলে এখানে ক্লিক করুন’ লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে পরবর্তী অপশনে আপনাকে পারমিশন দিতে বলবে। এখন আপনি পারমিশন ওকে করুন। তাহলে আপনার মোবাইল ক্যামেরা ওপেন হয়ে যাবে। এখন আপনি যার এন আইডি কার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে জিডি রেজিস্ট্রেশন করছেন। তার একটি স্পষ্ট ছবি তুলুন।
তাহলে দেখতে পাবেন যে ব্যক্তি ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার করে আপনি রেজিস্ট্রেশন করছেন। তার ভোটার আইডি কার্ডের ছবি এবং এখন তোলা ছবি দুটোই পাশাপাশি চলে আসবে। এখন আপনাকে আপনার মোবাইল নম্বর দিতে হবে। তাহলে আপনার সচল একটি মোবাইল নম্বর বসিয়ে দিন। এখন নিচে দেখতে পাবেন আপনাকে পাসওয়ার্ড দিতে বলা হয়েছে। যে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনি পরবর্তীতে আপনার জিডি একাউন্টে লগইন করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে জমির নামজারি আবেদন ২০২৫
তাহলে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাসওয়ার্ড এবং নিশ্চিত পাসওয়ার্ড অপশনে একই পাসওয়ার্ড লিখুন। এখন পাসওয়ার্ড বসানো হয়ে গেলে নিচে থেকে ‘এখানে ক্লিক করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী অপশনে নিয়ে যাবে এবং সেখানে এমন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে।
এখন আপনি Ok লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার অনলাইন জিডি অ্যাপে আপনার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবে। এখন থেকেই আপনি অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন জিডি করতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে অনলাইনে জিডি করতে হয়।
অনলাইনে জিডি করার নিয়ম
অনলাইনে জিডি করার জন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হলো: আপনি প্রথমেই যে অ্যাপসটি ইন্সটল করেছেন। সেই অ্যাপসটিতে (Online GD) প্রবেশ করতে হবে। তাহলে আপনার সামনে দুটি অপশন চলে আসবে। যেমন:
- নিবন্ধন এবং
- প্রবেশ করুন
অনলাইনে জিডি করার জন্য উপরে উল্লেখিত অপশন থেকে ‘প্রবেশ করুন’ অপশনে ক্লিক করুন। তারপর আপনার মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার একাউন্টে লগইন করতে হবে।
তাহলে আপনি যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে একাউন্ট তৈরি করেছেন সেই মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড বসিয়ে ‘প্রবেশ করুন’ অপশন ক্লিক করুন। তাহলে আপনার একাউন্ট লগইন হয়ে যাবে এবং এমন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে।
যখনি আপনি নতুন করে একাউন্ট তৈরি করবেন। তখন এখানে আপনাকে কিছু তথ্য দিতে হবে। এখন আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হলো: এখানে আপনার ঠিকানা ঠিক আছে কিনা সেটা চেক করতে হবে। এখন ঠিকানা ঠিক থাকলে নিচে থেকে ‘পরবর্তী’ লেখাটিতে ক্লিক করুন।
তাহলে পরবর্তী অপশনে আপনার ছবি চলে আসবে। এখন আপনি নিচে থেকে ‘পরবর্তী’ লেখাটিতে ক্লিক করুন। এখন পরবর্তী অপশনে সিগনেচার অপশন দেখতে পাবেন সেখানে আপনাকে সিগনেচার দিতে হবে।
তাহলে সিগনেচার করার জন্য ‘এখানে ক্লিক করুন’ অপশনে ক্লিক করে আপনার সিগনেচারটি এড করে সংরক্ষণ লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে দেখতে পাবেন ‘আপনার স্বাক্ষরটি সংরক্ষিত হয়েছে’ লেখাটি চলে আসবে। এখন আপনি Ok লেখাটিতে ক্লিক করে পরবর্তী লেখাটিতে করুন।
তাহলে পরবর্তী অপশনে আপনার মোবাইল নম্বর চলে আসবে। এখন আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হলো: আপনার মোবাইল অপারেটর সিলেক্ট করতে হবে। এখন মোবাইল অপারেটর সিলেক্ট করা হয়ে গেলে নিচে আপনার ইমেইলটি বসিয়ে দিন এবং ‘সাবমিট করুন’ লেখাটিতে ক্লিক করুন।
তাহলে আপনার মোবাইল নম্বরে একটি ভেরিফিকেশন কোড যাবে সেই কোড/ওটিপি কোডটি এখানে বসিয়ে ভেরিফাই করুন। তাহলে দেখতে পাবেন আপনার অ্যাকাউন্টের রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
এখন আপনি ‘প্রবেশ করুন’ অপশনে ক্লিক করে আপনার মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ‘লগইন করুন’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে দেখতে পাবেন আপনার জিডি অ্যাপের ভিতরে আপনার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। এখন আপনি Allow অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সামনে এমন একটি ড্যাশবোর্ডের ইন্টারফেস ওপেন হবে।
এখন আপনি সেখানে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- অপেক্ষা মান আবেদন
- গৃহীত আবেদন
- অগৃহীত আবেদন
- তদন্তাধীন জিডি এবং
- নিষ্পত্তি কৃত জিডি
এখন আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে পূর্বে কোন জিডি করে থাকেন তাহলে ‘অপেক্ষা মান আবেদন’ অপশনে ক্লিক করে আপনার আবেদনের পরিস্থিতি দেখতে পারবেন। আর ‘গৃহীত আবেদন’ অপশনে ক্লিক করে আপনি আপনার কোন আবেদন গুলো গৃহীত হয়েছে সেগুলো দেখতে পাবেন। তাছাড়াও ‘অগৃহীত আবেদন’ অপশনে ক্লিক করে অগৃহীত আবেদন গুলো দেখতে পাবেন।
এখন নিচে আপনি ‘তদন্তাধীন জিডি’ অপশন দেখতে পাবেন। এখানে ক্লিক করে দেখতে পাবেন আপনার কোন জিডি গুলো তদন্তাধীন রয়েছে। আর ‘নিষ্পত্তি কৃত জিডি’ অপশনে ক্লিক করে আপনার কোন জিডি গুলো নিষ্পত্তি হয়েছে সেগুলো দেখতে পাবেন। সাধারণত, একটি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আপনি বেশ কয়েকটি জিডি করতে পারবেন। অর্থাৎ, আপনার নিজের জন্য, আপনার নিজের ফ্যামিলির জন্য এবং বন্ধু-বান্ধবদের জন্য জিডি করতে পারবেন।
এখন নিচে দেখতে পাবেন জিডি এর জন্য আবেদন (তথ্য এন্ট্রি) লেখাটি দেখতে পাবেন এবং তার নিচে দুটি অপশন পাবেন। যেমন:
- হারানো এবং
- পাওয়া
এখন আপনি উপরে উল্লেখিত দুটি অপশনের মাধ্যমে অনলাইনে জিডি করতে পারবেন। এখন আপনি যদি কোন ডকুমেন্ট হারিয়ে ফেলেন। তাহলে হারানো অপশনে ক্লিক করে অনলাইনে জিডি করতে পারবেন।
আর আপনি যদি কোন ডকুমেন্ট পেয়ে থাকেন। তাহলে ‘পাওয়া’ অপশনে ক্লিক করে অনলাইনে জিডি করতে পারবেন। আর আপনি যদি অন্য কোন ক্যাটাগরিতে জিডি করতে চান। তাহলে আপনাকে সরাসরি থানায় গিয়ে জিডি করতে হবে।
এখন আপনার কোন ডকুমেন্ট যদি হারিয়ে গিয়ে থাকে এবং অনলাইনে জিডি করতে চান তাহলে ‘হারানো’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে এমন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে।
এখন পরবর্তী অপশনে আপনি বিভিন্ন ক্যাটাগরি দেখতে পাবেন। যেমন:
- যানবাহন
- মোবাইল
- কম্পিউটার
- গহনা
- কার্ড সমূহ এবং
- অন্যান্য
এখন আপনার যে জিনিসটি হারিয়েছে সেটি সিলেক্ট করুন। উদাহরণ স্বরূপ, আপনার ভোটের আইডি কার্ড হারিয়ে গিয়েছে। তাহলে অনলাইনে জিডি করার জন্য ‘কার্ড সমূহ’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে অনেকগুলো ক্যাটাগরি চলে আসবে। যেমন:
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- শিক্ষার্থী প্রশংসাপত্র
- শিক্ষার্থী আইডি কার্ড
- কর্মক্ষেত্রের আইডি কার্ড
- জন্ম সনদ
- পাসপোর্ট
- ব্যাংকিং কাগজ
- কুরিয়ার সার্ভিস এর ডকুমেন্ট
- শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন প্রবেশপত্র এবং
- নম্বর পত্র (মার্কশিট) ইত্যাদি
তাহলে আপনি আপনার ক্যাটাগরিটি সিলেক্ট করুন। উদাহরণ স্বরূপ, এখন আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র ক্যাটাগরি সিলেক্ট করলেন। তাহলে পরবর্তী অপশনে আপনার সামনে এমন একটি ফর্ম ওপেন হবে।
এখন প্রথমেই আপনাকে ডকুমেন্টের বিস্তারিত বিবরণ দিতে হবে। যেমন: জাতীয় পরিচয় পত্র সম্পর্কিত তথ্য। অর্থাৎ, আপনার যে জাতীয় পরিচয় পত্রটি হারিয়ে গেছে। সেই জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী ‘জাতীয় পরিচয় পত্র সম্পর্কিত তথ্য’ অপশন গুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। যেমন:
- নথির ধরন
- জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর*
- জন্ম তারিখ*
- জন্মস্থান*
- রক্তের গ্রুপ
- প্রদানের তারিখ
- মেয়াদ উত্তীর্ণ এর তারিখ (যদি থাকে) এবং
- একাধিক ডকুমেন্ট
তাহলে উপরে উল্লেখিত অপশনে আপনার হারানো জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী সঠিকভাবে পূরণ করুন। এখানে অবশ্যই স্টার * মার্ক দেওয়া অপশন গুলো পূরণ করতে হবে। অন্যথায়, আপনার অনলাইন জিডি গ্রহণ যোগ্য হবে না। এখন আপনি নিচে জরুরী যোগাযোগ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন এবং সেখানে অনেকগুলো অপশন রয়েছে। যেমন:
- নাম
- সম্পর্ক
- মোবাইল নম্বর
- বিভাগ
- জেলা
- থানা
- ইউনিয়ন/ওয়ার্ড এবং
- গ্ৰাম/এলাকা
তাহলে উপরে উল্লেখিত অপশনগুলো সঠিকভাবে পূরণ করে নিচে থেকে ‘পরবর্তী’ লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে ‘সনাক্তকরণ তথ্য’ নামে একটি নতুন ইন্টারফেস ওপেন হবে।
এখন আপনি সনাক্তকারীর তথ্য অপশনের নিচে ছবি অপশন দেখতে পাবেন। এখন আপনি যুক্ত করুন অপশনে ক্লিক করে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের একটি ছবি আপলোড করুন। তারপর পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে নিচে একাধিক রকমের অপশন দেখতে পাবেন।
এখন আপনি যদি অনলাইনে একসাথে একাধিক ডকুমেন্ট হারানোর জিডি করেন। তাহলে এখানে আপনার হারানো ডকুমেন্টের ছবি আপলোড করুন। তারপরে নিচে ‘হারানোর স্থান, সময় ও ঘটনার বিবরণ’ অপশন দেখতে পাবেন। অর্থাৎ, আপনার ডকুমেন্টটি কোন জায়গা থেকে হারিয়ে গিয়েছে সেটি সিলেক্ট করতে হবে। যেমন:
- বিভাগ
- ইউনিয়ান/ওয়ার্ড
- থানা
- স্থানের বিবরণ
- গ্রাম/এলাকা
- তারিখ এবং
- সময়
তাহলে আপনার ডকুমেন্টটি যে জায়গায় হারিয়ে গিয়েছে। সেই জায়গার তথ্য অনুযায়ী উপরের উল্লেখিত অপশন গুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন। তারপর নিচে ‘ঘটনার বিবরণ’ অপশন দেখতে পাবেন এবং সেখানেও অনেকগুলো অপশন রয়েছে। যেমন:
- স্থানের নাম
- স্থানের প্রকৃতি
- স্থানের অবস্থা এবং
- হারানোর অবস্থা
তাহলে প্রথমেই আপনি ‘হারানোর স্থানের নাম’ নির্বাচন করুন। তারপর হারানোর স্থানে প্রকৃতি এবং হারানোর অবস্থা সিলেক্ট করুন। এখন নিচে হারানোর অবস্থা অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করে আপনার ডকুমেন্ট হারানোর অবস্থা সিলেক্ট করুন। এখন নিচে আপনি দেখতে পাবেন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রটি আপনি খোঁজাখুঁজি করেছেন কিনা? এখন আপনি সেখানে ‘হ্যাঁ’ সিলেক্ট করুন।
তারপর নিচে এন্ট্রি ফর অপশন দেখতে পাবেন এবং তার নিচে দুটি অপশন পাবেন। যেমন:
- নিজ এবং
- অন্যজন
এখন আপনি যদি আপনার জন্য অনলাইনে জিডির আবেদন করেন। তাহলে ‘নিজ’ অপশন সিলেক্ট করুন। আর আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আপনি যদি অন্যর জন্য জিডি করেন। তাহলে ‘অন্যজন’ অপশন সিলেক্ট করুন। এখন আপনি যদি অন্য কারোর জন্য অনলাইনে জিডির আবেদন করেন।
তাহলে নিচে সেই ব্যক্তির ডকুমেন্ট দিতে হবে। অর্থাৎ, আপনি যে ব্যক্তির নামে অনলাইনে জিডি করছেন। সেই ব্যক্তি তথ্য এখানে দিতে হবে। যেমন:
- ডকুমেন্টের ধরন
- জন্ম তারিখ
- নম্বর
- মোবাইল নম্বর
- নাম
- পিতার নাম
- মাতার নাম এবং
- বর্তমান ঠিকানা
তাহলে আপনি যার জন্য জিডি করছেন। সেই ব্যক্তি তথ্য দিয়ে উপরে উল্লেখিত অপশনগুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন। এখন সকল অপশন সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে নিচে থেকে ‘সাবমিট’ লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে আপনার সকল ডিটেলস চলে আসবে। অর্থাৎ, আপনি এতক্ষণ ধরে যে সকল ডকুমেন্ট আপলোড করেছেন। সেই সকল ডকুমেন্ট এখানে শো করবে।
এখন আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হলো: পুনরায় আপনাকে সকল অপশন গুলো সঠিকভাবে চেক করতে হবে। এখন সকল অপশন সঠিক থাকলে ‘Final submit’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে দেখতে পাবেন আপনার সামনে এমন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে।
এখানে আপনাকে একটি ওটিপি কোড বসাতে হবে। এখানে আপনি যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে অনলাইনে জিডির আবেদন করেছেন। অথবা যে ব্যক্তির মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে আপনি অনলাইনে জিডির জন্য আবেদন করেছেন। সেই ব্যক্তির মোবাইল নম্বরে একটি ভেরিফিকেশন কোড যাবে। এখন সেই কোডটি এখানে বসে আপনাকে ভেরিফাই করতে হবে।
এখন ভেরিফাই করা হয়ে গেলে ‘ওকে’ লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপের নিয়ে যাবে এবং সেখানে দেখতে পাবেন। আপনাকে একটি ট্রাকিং নম্বর দেওয়া হয়েছে এবং ‘তথ্য প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে’ লেখাটি চলে আসবে। এখন আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হলো: আপনার ট্র্যাকিং নম্বরটি কপি অথবা সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
এখন ট্রেকিং নম্বরটি কপি অথবা সংরক্ষণ করা হয়ে গেলে নিচে থেকে ‘আবেদন প্রিন্ট’ অপশনে ক্লিক করে আপনার আবেদনের কপিটি প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
এখন আপনার আবেদন পত্রটি প্রিন্ট করা হয়ে গেলে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হলো আপনার আবেদনের কপিটি নিয়ে আপনার নিকটস্থ থানায় যেতে হবে। এখন থানায় গিয়ে থানায় কর্মরত অফিসারকে আপনার জিডির কপিটি দিতে হবে। এখন অফিসার আপনার জিডির কপিটি দেখে অনলাইনে জিডিটি এপ্রুভ করে দিবে।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে খতিয়ান অনুসন্ধান করার উপায়
আর আপনি যদি থানায় না যেতে চান। তাহলেও আপনার জিডির আবেদনটি এপ্রুভ হয়ে যাবে। তবে আপনার আবেদনটি এপ্রুভ হতে কিছুদিন সময় নিবে। আর আপনি যদি সাথে সাথে থানায় আপনার জিডির কপিটি থানায় নিয়ে যান। তাহলে তারা সাথে সাথে আপনার জিডিটি এপ্রুভ করে দিবে এবং আপনার জিডির কপিতে একটি সিল দিয়ে দিবে। এখন আপনি এই সিল দেওয়া কাগজটি যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন আপনার জিডির কপি হিসেবে।
আশা করি, আজকের পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন। কিভাবে আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে অনলাইনে জিডি করবেন। তাছাড়াও কোন কোন জিডি করার পরে আপনাকে থানায় যেতে হবে এবং অনলাইনে জিডি করতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। এরকম আরোও গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।