জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ই-পাসপোর্ট করার সহজ নিয়ম ২০২৫

জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ই-পাসপোর্ট করার সহজ নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আজকের পোস্টে। যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে এখন থেকে তারা চাইলেই জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ই-পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করবো। কিভাবে আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ই-পাসপোর্ট তৈরি করবেন।

জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ই-পাসপোর্ট তৈরি করতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে, কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট করবেন এবং কিভাবে আপনি আপনার ই-পাসপোর্ট হাতে পাবেন। এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি কন্টিনিউ করুন।

জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম

জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ই-পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য আপনাকে একটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল করতে হবে। সেটি হলো: আপনি তখনি জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ই-পাসপোর্ট জন্য আবেদন করতে পারবেন। যখন আপনার বয়স ১৮ বছরের নিচে হবে। অর্থাৎ, আপনার বয়স যদি ৩-৪ বছর হয় কিংবা ১৬-১৭ বছর হয়। তাহলে আপনি জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ই-পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন।

আর আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের উপরে হয়। তাহলে আপনি কোন ভাবেই জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ই-পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে ই-পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ই-পাসপোর্ট আবেদন করতে হয়। 

জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ই-পাসপোর্ট আবেদন

জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ই-পাসপোর্ট তৈরি করা জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হলো: আপনার মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের ডাটা সংযোগ চালু করুন। তারপর আপনার মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে থাকা Google Chrome Browser ওপেন করুন এবং সার্চ অপশনে epassport.gov.bd লিখে সার্চ করুন। 

তাহলে আপনাকে সরাসরি জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ই-পাসপোর্ট ওয়েব সাইটে নিয়ে যাবে এবং সেখানে এমন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে।

জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ই-পাসপোর্ট আবেদন

এখন আপনি সেখানে ৬টি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:

  1. Apply online for e-passport/ Re-issue 
  2. 5-steps to e-passport 
  3. Urgent applications 
  4. Passport fees 
  5. Instructions and 
  6. Application at RPO Bangladesh secretariat 

জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ই-পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য Apply online for e-passport/ Re-issue অপশনের নিচে থেকে ‘Directly to online application’ অপশনে ক্লিক করুন। তারপর পরবর্তী অপশন ‘Are you…….. Bangladesh’ নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। অর্থাৎ, আপনি কি বাংলাদেশ থেকে আবেদন করছেন। তাহলে আপনি আপনার দেশটি সিলেক্ট করুন। 

উদাহরণ স্বরূপ, আপনি বাংলাদেশ থেকে আবেদন করছেন। তাহলে yes অপশনটি সিলেক্ট করুন। তারপর নিচে আপনার District এবং Police station সিলেক্ট করুন। এখন সকল অপশন সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে Continue লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে অর্থাৎ, Email Address অপশনে নিয়ে যাবে।

ইমেইল এড্রেস সাবমিশন

Email Address অপশনে আসার পর আপনার একটি ইমেইল এড্রেস বসাতে হবে। তাহলে আপনি আপনার মোবাইল থাকা যেকোনো একটি ইমেইল এড্রেস লিখুন এবং নিচে I am human অপশনে টিক চিহ্ন দিয়ে Continue লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে এমন একটি ফরম ওপেন হবে। 

ইমেইল এড্রেস সাবমিশন

এখন আপনাকে সঠিক তথ্য দিয়ে ফর্মটি পূরণ করতে হবে। তাহলে প্রথমেই আপনার একাউন্টে লগইন করার জন্য একটি পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। তাহলে Password এবং Repeat password অপশনে একই পাসওয়ার্ড লিখুন। তারপর নিচে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী অপশন গুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন। যেমন:

  • Given Name (Option)
  • Surname 
  • County code and 
  • Phone number 

তাহলে উপরে উল্লেখিত অপশন গুলো আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী সঠিকভাবে পূরণ করুন। তারপর নিচে I am human অপশনে টিক চিহ্ন দিয়ে Create Account অপশনে ক্লিক করুন। এখন পরবর্তী অপশনে আপনার ইমেইলে একটি ভেরিফিকেশন মেইল চলে যাবে।

আরো পড়ুনঃ ১০ মিনিটে ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ২০২৫

এখন আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হলো: আপনার ইমেইল থেকে ভেরিফিকেশন লিংকে ক্লিক করুন একাউন্ট ভেরিফিকেশন করুন। তাহলে আপনার ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে একাউন্ট তৈরি করা সম্পন্ন হবে।

এখন আপনি Sign in অপশনে ক্লিক করে আপনার একাউন্টে ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড বসিয়ে লগইন করুন। এখন একাউন্ট লগইন করা হয়ে গেলে আপনার সামনে ঠিক এমন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে। 

ইমেইল এড্রেস সাবমিশন

Apply for a new e-passport

এখন আপনি ‘Apply for a new e-passport’ লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী অপশনে নিয়ে যাবে এবং সেখানে Passport type দুটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:

  1. Ordinary passport and 
  2. Official passport

সাধারণত, যারা সরকারি চাকরি অর্থাৎ অফিস আদালতে চাকরি করে থাকে। তাদের জন্য official passport। আর সাধারণ মানুষের জন্য 

Ordinary passport পাসপোর্ট। তাহলে আপনি আপনার পাসপোর্ট ধরুন সিলেক্ট করুন। 

উদাহরণস্বরূপ, আপনি সাধারণ পাসপোর্ট তৈরি করবেন। তাহলে Ordinary passport অপশনটি সিলেক্ট করুন এবং save and continue লেখাটিতে ক্লিক করুন। এখন পরবর্তী অপশনে আপনার সামনে এমন একটি ফর্ম ওপেন হবে। 

ইমেইল এড্রেস সাবমিশন

এখানে আপনাকে একটি বিষয় খেয়াল করতে হবে। এটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করার প্রথম ধাপ। এখন আপনি যদি ‘I apply for myself’ অপশনে ক্লিক করেন। তাহলে দেখতে পাবেন অটোমেটিক আপনার নাম চলে আসবে। অর্থাৎ, আপনি যে নাম দিয়ে একাউন্ট তৈরি করেছেন সেই নামটি চলে আসবে। এখন আপনি চাইলেই নামটি এডিট করতে পারবেন না।

এখন আপনি যদি নিজে ব্যতীত অন্য কারোর জন্য ই-পাসপোর্ট আবেদন করেন। তাহলে 

‘I apply for myself’ অপশনটিতে টিক চিহ্ন দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ‌এখন আপনি ফর্মটিতে লক্ষ্য করলে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। যেমন: 

  • Xender 
  • Full Name (as per previous…. Nid/BRC)
  • Given Name (as per…. passport or Nid/BRC)
  • Surname (as per…. or Nid/BRC)
  • Profession 
  • Religion 
  • County Code and 
  • Mobile Number 

তাহলে উপরে উল্লেখিত অপশন গুলো আপনি ঠিকভাবে পূরণ করুন। এখন সকল অপশন সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে নিচে Send SMS application.…… অপশনে টিক চিহ্ন দিয়ে দিন। তারপর নিচে Birth data অপশনের নিচেও বেশ কয়েকটি অপশন পাবেন। যেমন:

  • Country of birth 
  • District of birth 
  • Date of birth and 
  • Citizenship Information 

তাহলে প্রথমেই আপনি আপনার Countryটি সিলেক্ট করুন। তারপর আপনার District এবং Date of birth সিলেক্ট করুন। এখন নিচে Citizenship Information অপশন দেখতে পাবেন। এখন আপনি Citizenship Information অপশনে By Birth অপশনটি সিলেক্ট করুন। 

এখন সকল অপশন সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে নিচে থেকে Save and continue অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে Address অপশনে নিয়ে যাবে। 

বর্তমান ও স্খায়ী ঠিকানা প্রদান

বর্তমান ও স্খায়ী ঠিকানা প্রদান

এখানে আপনার এড্রেস দিতে হবে। অর্থাৎ, আপনি যার জন্য ই-পাসপোর্ট আবেদন করছেন। সেই ব্যক্তির Permanent address এখানে দিতে হবে। তাহলে প্রথমেই আপনার district, Road এবং village সিলেক্ট করুন। তারপর post office, Postal code এবং Police station নির্বাচন করুন।

এখন স্ক্রোল করে নিচে নামলে Present Address অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:

  • Country 
  • District 
  • Village 
  • post office
  • Postal code এবং
  • Police station

তাহলে একই ভাবে আপনার Present Address লিখুন। এখন আপনি যদি মনে করেন। আপনার Present Address এবং Permanent address একই দিবেন। তাহলে ‘Present Address is the ….. Permanent address’ অপশনে টিক চিহ্ন দিয়ে দিন। তাহলে অটোমেটিক আপনার পার্মানেন্ট এড্রেস অনুযায়ী প্রেজেন্ট অ্যাড্রেসগুলো বসে যাবে। 

আর আপনি যদি প্রেসেন্ট অ্যাড্রেস এবং পার্মানেন্ট এড্রেস আলাদা দিতে চান। তাহলে আপনার Present Address এবং Permanent address অনুযায়ী অপশন গুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন। এখন আপনি স্ক্রোল করে নিচে নামলে available regional passport Office….. নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন এবং তার নিচে দুটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:

  1. Regional passport Office (RPO) and 
  2. Bangladesh Mission 

এখানে আপনার নিকটস্থ যে রেজিওনাল অফিস রয়েছে। সেটি সিলেক্ট করতে হবে। তাহলে আপনি আপনার নিকটস্থ রেজোনাল অফিস সিলেক্ট করুন এবং নিচে থেকে save and continue লেখাটিতে ক্লিক করুন। এখন পরবর্তী অপশনে I’d Document অপশন দেখতে পাবেন এবং তার নিচে পাসপোর্ট এর ধরন দেখতে পাবেন। 

বর্তমান ও স্খায়ী ঠিকানা প্রদান

আইডি ডকুমেন্ট প্রদান

এখন আপনি সেখানে তিনটি ধরনের পাসপোর্ট দেখতে পাবেন। যেমন:

  1. Yes, I have….. Readable passport (MRP)
  2. Yes, I have….. password (ePP) and 
  3. No, I don’t have any….. handwritten passport 

এখন আপনার যদি আগে থেকে পাসপোর্ট থাকে। অর্থাৎ, আপনি যার জন্য আবেদন করছেন। তার যদি আগে থেকে পাসপোর্ট থাকে। তাহলে সেই পাসপোর্টটি সিলেক্ট করুন। আর আপনার যদি আগে থেকে পাসপোর্ট না থাকে। তাহলে No, I don’t have any….. handwritten passport অপশনে ঠিক চিহ্ন দিন। 

তারপর নিচে ‘Do you have……. Others country’ অর্থাৎ, আপনার যদি অন্য কোন দেশের পাসপোর্ট থেকে থাকে। তাহলে Yes, I have another passport অপশনে টিক চিহ্ন দিয়ে দিন। আর আপনার যদি অন্য কোন দেশের পাসপোর্ট না থাকে।

তাহলে No, I don’t have অপশনে টিক চিহ্ন দিয়ে দিন। তারপর নিচে ‘identification information’ নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। 

আইডি ডকুমেন্ট প্রদান

এখন ‘identification information’ অপশনে আপনার বার্থ রেজিস্ট্রেশন নম্বর বসাতে হবে। আর আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের উপরে হয়ে থাকে। তাহলে এখানে অবশ্যই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বরটি বসাতে হবে। 

এখানে অবশ্যই আপনার ডিজিটাল জন্ম সনদ থাকতে হবে। অন্যথায়, আপনার আবেদনটি গ্রহণযোগ্য হবে না। এখন identification information অপশনটি সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে নিচে থেকে Save and continue লেখাটিতে ক্লিক করুন। 

এখন পরবর্তী অপশনে আপনি যার জন্য পাসপোর্ট এর আবেদন করবেন। এখানে সেই ব্যক্তির পিতা মাতার তথ্য দিতে হবে। এখন প্রথমেই আপনি Father information নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন এবং তার নিচে অনেকগুলো অপশন পাবেন। যেমন: 

  • Father’s Name (as per Nid/BRC)
  • Profession 
  • Nationality এবং 
  • National ID number

তাহলে আপনি আপনার জন্ম সনদ অনুযায়ী উপরে উল্লেখিত অপশনগুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন। তারপর নিচে Mother’s Information অপশন দেখতে পাবেন এবং এখানে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:

  • Mother’s Name (as per Nid/BRC)
  • Profession 
  • Nationality এবং 
  • National ID number

তাহলে আবারোও আপনার জন্ম সনদ অনুযায়ী আপনার মাতার তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন। এখন সকল ইনফরমেশন সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে নিচে legal guardian নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। এখন অনেকের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার তথ্য জানেন না। সেক্ষেত্রে মিনিস্ট্রি হোম অফ অ্যাফেয়ার্স থেকে সার্টিফিকেট নেওয়া হয়ে থাকে।

এখন আপনার যদি লিগ্যাল গার্ডিয়ান থাকে। তাহলে legal guardian অপশনের পাশে থেকে not applicable অপশনে টিক চিহ্ন উঠিয়ে আপনার লিগ্যাল গার্ডিয়ানের তথ্য দিয়ে অপশন গুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন। যেমন: 

  • legal guardian (as per Nid/BRC)
  • Profession 
  • Nationality and 
  • Ministry of home affairs order number 

তাহলে আপনি আপনার লিগ্যাল গার্ডিয়ানের information দিয়ে উপরে উল্লেখিত অপশন গুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন। আর আপনার যদি লিগ্যাল গার্ডিয়ান না থাকে। তাহলে Not applicable অপশনে টিক চিহ্ন দিয়ে দিন। এখন সকল অপশন সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে নিচে থেকে Save and continue লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে Spouse information অপশন নিয়ে যাবে। 

আইডি ডকুমেন্ট প্রদান

এখানে আপনার married status সিলেক্ট করতে হবে। এখন আপনি যদি অবিবাহিত হয়ে থাকেন। তাহলে single অপশন সিলেক্ট করুন। আর আপনি যদি বিবাহিত হন। তাহলে আপনার স্বামী অথবা স্ত্রীর তথ্য দিয়ে অপশন গুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন। তারপর নিচে থেকে Save and continue লেখাটিতে ক্লিক করুন। এখন পরবর্তী অপশনে আপনাকে Emergency Contact সিলেক্ট করতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে জিডি করার নিয়ম ২০২৫ | Online GD Bangladesh

এখন আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার সাথে কিভাবে যোগাযোগ করবে। সেটি সিলেক্ট করুন। তারপর Emergency Contact থাকা ব্যক্তি তথ্য দিয়ে অপশন সঠিকভাবে পূরণ করুন এবং Save and continue অপশনটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে Passport Options নিয়ে যাবে।‌

আইডি ডকুমেন্ট প্রদান

এখানে আপনাকে পাসপোর্টের ধরন সিলেক্ট করতে হবে। সাধারণত 18 বছরের নিচে আপনি 5 বছরের জন্য পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন। এখন আপনি যদি 48 পেজের পাসপোর্ট 5 বছরের পাসপোর্ট নিতে চান। তাহলে আপনাকে 4025 টাকা পেমেন্ট করতে হবে। এখন আপনি Save and continue লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে ডেলিভারির অপশনে নিয়ে যাবে এবং সেখানে দুটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:

  • Regular delivery and 
  • Express delivery 

এখন আপনি আপনার পাসপোর্টটি কিভাবে নিতে চাচ্ছেন সেটা সিলেক্ট করুন। সাধারণত, আপনি যদি Express delivery ডেলিভারির মাধ্যমে আপনার পাসপোর্ট নিতে চান। তাহলে আপনি সাত দিনের মধ্যে আপনার পাসপোর্টে পেয়ে যাবেন এবং তার জন্য আপনাকে 6325 টাকা পেমেন্ট করতে হবে। 

আর আপনি যদি Regular delivery মাধ্যমে আপনার পাসপোর্টটি নিতে চান। তাহলে পনের কর্ম দিবসের মধ্যে আপনার পাসপোর্টেটি পেয়ে যাবেন। তার জন্য আপনাকে 4025 টাকা পেমেন্ট করতে হবে। তাহলে আপনি আপনার পছন্দ অনুসারে ডেলিভারি অপশন সিলেক্ট করুন। 

উদাহরণস্বরূপ, আপনি Regular delivery মাধ্যমে আপনার পাসপোর্টটি নিতে চাচ্ছেন। তাহলে Regular delivery অপশন সিলেক্ট করুন এবং Save and continue লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে আপনি ইতিমধ্যে যে যে ইনফরমেশন গুলো পূরণ করেছেন। এখানে সেই সকল ইনফরমেশন দেখতে পাবেন।

এখন আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হলো: এখানে থাকা প্রত্যেকটি ইনফরমেশন আপনাকে ভালো করে চেক করতে হবে। এখন আপনার ইনফরমেশনে যদি ভুল থাকে। তাহলে পাশে থেকে edit অপশনে ক্লিক করে ভুল তথ্যটি সংশোধন করুন।

এখন সকল অপশন সঠিক থাকলে নিচের বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে ‘Confirm and proceed to payment’ লেখাটিতে ক্লিক করে আবারোও 

Confirm and proceed to payment অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে অনলাইনে পেমেন্ট পরিশোধ করার ধাপে যাবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হয়। 

ই-পাসপোর্ট অনলাইন পেমেন্ট

ই-পাসপোর্ট অনলাইন পেমেন্ট করার জন্য স্কোল করে নিচে নামুন। তাহলে সেখানে দুটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:

  1. Online payment and 
  2. Offline payment 

ই-পাসপোর্ট অনলাইন পেমেন্ট করার জন্য online payment অপশনটি সিলেক্ট করুন এবং Continue লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে অনলাইন পেমেন্ট করার জন্য বিভিন্ন পেমেন্ট মেথড দেখতে পাবেন। যেমন:

  1. Mobile Banking 
  2. Cards 
  3. Internet banking and 
  4. Wallet 

ই-পাসপোর্ট অনলাইন পেমেন্ট করার জন্য ওপরে উল্লিখিত যেকোনো একটি পেমেন্ট মেথড সিলেক্ট করে আপনি পেমেন্ট করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি card’s মাধ্যমে পেমেন্ট করবেন। তাহলে Cards অপশনে ক্লিক করুন। তারপর আপনি কোন কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে চাচ্ছেন সেটি সিলেক্ট করুন এবং Pay ৳… অপশনে ক্লিক করুন।

তারপর পরবর্তী অপশনে আপনার কার্ডের ইনফরমেশন দিয়ে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন। তাছাড়াও আপনি চাইলে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে ই-পাসপোর্ট অনলাইন পেমেন্ট করতে পারবেন। এখন পেমেন্ট সম্পন্ন হলে আপনার সামনে এমন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে।

ই-পাসপোর্ট অনলাইন পেমেন্ট

এখন আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হলো: Print Summary অপশনে ক্লিক করে সামারিটি প্রিন্ট করতে হবে। তারপর Download Application from অপশনে ক্লিক করে Application fromটি ডাউনলোড করুন। এখন আপনাকে পেমেন্ট পেমেন্ট রিসিভ ডাউনলোড করতে হবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে পেমেন্ট রিসিট ডাউনলোড করতে হয়। 

অনলাইন পেমেন্ট রিসিভ ডাউনলোড

অনলাইন পেমেন্ট রিসিভ ডাউনলোড করার জন্য এখান থেকে online registration idটি কপি করুন এবং উপর থেকে Passport Fees অপশনে ক্লিক করুন। 

অনলাইন পেমেন্ট রিসিভ ডাউনলোড

তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে সেখান থেকে প্রথমেই Fast Click অপশনটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তীভাবে নিয়ে যাবে এবং সেখানে তিনটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:

  1. রশিদ নম্বর 
  2. মোবাইল নম্বর এবং 
  3. পাসপোর্ট application ID 

এখন আপনি ‘পাসপোর্ট application ID’ অপশনটি সিলেক্ট করুন। তারপর নিচে আপনার ও আইডিটি পেস্ট করুন এবং জমা দিন লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে আপনার অনলাইন পেমেন্ট স্লিপ দেখতে পাবেন। এখন আপনি view লেখাটিতে ক্লিক করে আপনার অনলাইন পেমেন্ট স্লিপটি ডাউনলোড করুন। 

অনলাইন পেমেন্ট রিসিভ ডাউনলোড

এখন আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হলো: প্রিন্ট সামারি, অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম এবং অনলাইন পেমেন্ট স্লিপটি যেকোনো কম্পিউটার দোকান থেকে প্রিন্ট করে নিতে হবে। এখন প্রিন্ট সামারি, অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম এবং অনলাইন পেমেন্ট স্লিপটি প্রিন্ট করা হয়ে গেলে তার সাথে আপনাকে আরো কিছু কাগজ সংযুক্ত করতে হবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কি কি কাগজ সংযুক্ত করতে হয়। 

ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা

প্রিন্ট সামারি, অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম এবং অনলাইন পেমেন্ট স্লিপের সাথে কি কি ডকুমেন্ট সংযুক্ত করতে হবে। নিম্নে তালিখা হিসেবে তুলে ধরা হলো:

  • আপনার পিতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি 
  • আপনার মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং 
  • আপনার নিজের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ইত্যাদি 

এখন সকল ডকুমেন্টগুলো একসাথে সংযুক্ত করে আপনার নিকটস্থ রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। তারপর রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে কাগজপত্র গুলো জমা করতে হবে। এখন আপনার দেওয়া সকল ডকুমেন্ট সঠিক থাকলে আপনার ছবি এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট তুলে নিবে।

তারপর পরবর্তীতে আপনার পুলিশ ভেরিফিকেশন হবে এবং আপনার পাসপোর্টে প্রিন্ট হয়ে যাবে। তখন আপনার পাসপোর্ট স্লিপটি নিয়ে আপনার পাসপোর্টটি কালেক্ট করতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ ৫ মিনিটে অনলাইনে জমির খতিয়ান সংশোধন করুন

আশা করি, আজকের পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন। কিভাবে হাতে টাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ই-পাসপোর্ট করবেন। জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ই-পাসপোর্ট আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় এবং কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হয়। এরকম আরোও গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে। 

Leave a Comment