ই-পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আজকের পোস্টে। আপনাদের ভিতরে যারা ২০২৫ সালে পাসপোর্ট তৈরি করতে চাচ্ছেন। তাদের জন্য আজকের পোস্টটি। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করবো। কিভাবে আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করবেন।
ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে, কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে ই পাসপোর্ট পেমেন্ট করবেন এবং কিভাবে আপনি সঠিক নিয়মে ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করার পর পুলিশ ভেরিফিকেশন করবেন ইত্যাদি। তাই ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন
ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করার জন্য আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটার ডাটা সংযোগ চালু করুন। তারপর আপনার পছন্দ অনুযায়ী একটি ব্রাউজার ওপেন করুন এবং সার্চ বারে e-passport.gov.bd লিখে সার্চ করুন। তাহলে আপনাকে সরাসরি ই পাসপোর্ট এর ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে এবং সেখানে একটি নতুন ইন্টারফেস ওপেন হবে।
ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করার জন্য আপনি সেখানে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- Apply online for e-passport/ Re-issue
- 5 steps to e-passport
- Urgent applications
- Passport fees
- Instructions and
- Application at RPO Bangladesh secretariat
এখন ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করার জন্য উপরে উল্লেখিত অপশন থেকে Apply online for e-passport/ Re-issue অপশনের নিচে থেকে ‘Directly to online application’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে Fast step নিয়ে যাবে।
Step 01: Check availability of e-Passport in your region
এখন প্রথমেই আপনি কোন দেশ থেকে ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করছেন সেটি সিলেক্ট করুন। তারপর নিচে দুটি অপশন পাবেন। যেমন:
- Present address and
- Permanent address
ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করার জন্য আপনাকে Present address and Permanent address দিতে হবে। তাহলে আপনি আপনার Present address and Permanent addressটি সঠিকভাবে সিলেক্ট করুন। এখন সকল অপশন ঠিকঠাক বসানো হয়ে গেলে নিচে থেকে Continue লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে Step: 2 তে নিয়ে যাবে।
Step 02: Enter your email address
এই স্টেপে আপনাকে ইমেইল ভেরিফিকেশন করতে হবে। কিভাবে ইমেইল ভেরিফিকেশন করবেন এ বিষয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো।
দ্বিতীয় নম্বর স্টেপে এসে আপনাকে একটি নতুন ইমেইল এড্রেস বসাতে হবে। যে ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করে আপনি আগে ই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেননি। এমন একটি ইমেইল এড্রেস বসিয়ে দিন। তারপর নিচে থেকে ‘I am human’ অপশনে টিক চিহ্ন দিয়ে ‘Continue’ লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে Step:3 তে নিয়ে যাবে।
Step 03: Enter your account information
এখন প্রথমেই আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। যে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনি পরবর্তীতে ই পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে লগইন করতে পারেন। তাহলে আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী পাসওয়ার্ড বসিয়ে দিন।
তারপর ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করার জন্য আপনাকে personal information দিতে হবে। যেমন:
- Full Name (as per Nid/Birth Certificate)
- Given Name
- Surname Option
- Country Code and
- Mobile Number
তাহলে আপনি আপনার এনআইডি কার্ড অনুযায়ী Given Name এবং Surnameটি লিখুন। তাহলে দেখতে পাবেন অটোমেটিক আপনার Full Name বসে গিয়েছে। এখানে আপনার Full Nameটি যেভাবে রয়েছে। সেম একই ভাবে আপনার পাসপোর্টে থাকবে। এখন নিচে আপনার মোবাইল নম্বরটি বসিয়ে দিন এবং ‘I am human’ বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Create Account লেখাটিতে ক্লিক করুন।
তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করা সম্পন্ন হবে এবং আপনার ইমেইলে একটি ভেরিফিকেশন লিংক যাবে। এখন আপনাকে আপনার ইমেইল থেকে ভেরিফিকেশন লিংকে ক্লিক করে আপনার একাউন্ট ভেরিফিকেশন করতে হবে। এখন অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন করা হয়ে গেলে আপনার একাউন্টে লগইন করতে হবে। তাহলে লগইন করার জন্য Sign in অপশনে ক্লিক করুন।
আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড বসিয়ে দিন। তারপর I am human অপশনে ক্লিক করে Sign in অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার একাউন্টের লগইন হয়ে যাবে।
Step 04: Apply for a new e-Passport
একাউন্টে লগইন করার পর সেখানে দুটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- Account and
- Apply for a new e-passport
এখন ই-পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করার জন্য Apply for a new e-passport অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী অপশনে নিয়ে যাবে এবং সেখানে আপনাকে পাসপোর্টের ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে। যেমন:
- Ordinary passport and
- Official Passport
এখন আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী পাসপোর্ট এর ক্যাটাগরি সিলেক্ট করুন। সাধারণত Ordinary passport বলতে বোঝানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য যে পাসপোর্ট তৈরি করা হয়। আর Official Passport বলতে বোঝানো হয়েছে। আপনারা যারা Official Passport এনওসির জন্য আবেদন করবেন।
উদাহরণ স্বরূপ, আপনি Ordinary passport জন্য আবেদন করবেন। তাহলে অর্ডিনারি পাসপোর্ট অপশনটি সিলেক্ট করুন। তারপর নিচে থেকে Save and continue লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে।
Step 05: Give your Personal Information
এখন প্রথমেই আপনি Personal Information অপশন দেখতে পাবেন। এখন আপনি পার্সোনাল ইনফরমেশনের নিচে থেকে I apply for myself লেখাটিতে ক্লিক করুন।
সাধারণত, ই পাসপোর্টের একটি একাউন্ট ক্রিয়েট করে আপনার পরিবারের সকলের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এখন আপনি যদি আপনার পরিবারের অন্য সদস্যের জন্য ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করতে চান। তাহলে apply for myself অপশনটি ফাঁকা রাখুন। আর আপনি যদি নিজের জন্য ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করেন। তাহলে apply for myself লেখাটিতে ক্লিক করুন।
তাহলে নিচে আপনার নাম চলে আসবে। এখন আপনাকে আপনার Gender and profession সিলেক্ট করতে হবে। তাহলে আপনার লিঙ্গ এবং আপনার পেশা সিলেক্ট করুন। এখানে একটি বিষয় আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এখানে আপনি যে profession টি সিলেক্ট করবেন। সেই profession এর এগেন্সেটে আপনাকে পরমাণক দিতে হবে।
তারপর নিচে আপনার ধর্ম সিলেক্ট করতে হবে। তাহলে আপনি আপনার ধর্ম সিলেক্ট করুন। এখন নিচে আপনি Birth data অপশন দেখতে পাবেন এবং তার নিচে তিনটি অপশন পাবেন। যেমন:
- Country of birth
- District of birth and
- Date of birth
তাহলে আপনি আপনার Country of birth সিলেক্ট করুন। অর্থাৎ, আপনার দেশটি নির্বাচন করুন। তারপর নিচে আপনার থানা এবং আপনার জন্ম তারিখ সঠিকভাবে লিখুন। এখন নিচে citizenship Information অপশন দেখতে পাবেন।
এখন citizenship Information অপশন ক্লিক করে By Birth অপশনটি সিলেক্ট করুন। এখন সকল অপশন সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে Save and continue অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে আপনার এড্রেসটি দিতে হবে।
Step 06: Fill up your present and permanent address
এখানে আপনার present address and permanent address দিতে হবে। তাহলে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী present address and permanent address টি সঠিকভাবে লিখুন। তাছাড়াও আপনি চাইলে প্রেজেন্ট অ্যাড্রেস এবং পার্মানেন্ট এড্রেস একই দিতে পারবেন। আপনি যদি present address and permanent address একই দিতে চান।
তাহলে ‘present Address……permanent’ অপশনে টিক চিহ্ন দিয়ে দিন। তাহলে অটোমেটিক আপনার present address অনুযায়ী আপনার permanent addressটি বসে যাবে। আর আপনাদের ভিতরে অনেকেই আছেন যারা দুই জায়গায় বসবাস করেন। অর্থাৎ, আপনার বর্তমান ঠিকানা একটি এবং স্থায়ী ঠিকানা আরেকটি।
এখানে আপনি চাইলেই present এড্রেস এবং permanent এড্রেস আলাদা দিতে পারবেন। তবে আপনার প্রেজেন্ট এড্রেস এবং পার্মানেন্ট এড্রেসে দুই এড্রেসেই আপনার পুলিশ ভেরিফিকেশন হবে।
এখন present address and permanent address বসানো হয়ে গেলে নিচে দেখতে পাবেন আপনার প্রেজেন্ট অ্যাড্রেস এবং পার্মানেন্ট এড্রেস অনুযায়ী আপনার পাসপোর্ট অফিসের নাম চলে আসবে। এখন সকল এড্রেস বসানো হয়ে গেলে Save and continue লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে I’d Document অপশনে নিয়ে যাবে।
Step 07: Give your ID Documents
এখানে আপনি তিন ধরনের পাসপোর্ট দেখতে পাবেন। যেমন:
- Yes, I have a machine Readable passport (MRP)
- Yes, l have an Electronic passport (ePP) and
- No, I don’t have any previous passport/handwritten passport
এখন আপনার যদি আগে থেকে পাসপোর্ট থাকে। তাহলে No, I don’t have any previous passport/handwritten passport অপশনটি সিলেক্ট করুন। আর আপনাদের ভিতরে অনেকেই আছেন। যাদের MRP পাসপোর্ট রয়েছে। এখন আপনি চাচ্ছেন MRP পাসপোর্টটি ই পাসপোর্ট করতে। তাহলে Yes, I have a machine Readable passport (MRP) অপশনটি সিলেক্ট করুন।
আর আপনার যদি ই পাসপোর্ট থাকে। তাহলে Yes, l have an Electronic passport (ePP) অপশনটি সিলেক্ট করুন এবং নিচে আপনার এই পাসপোর্টে হারিয়ে গেছে কিনা এক্সপায়ার সেটি সিলেক্ট করুন। উদাহরণ স্বরূপ, আপনি নতুন পাসপোর্ট তৈরি করতে চাচ্ছেন। তাহলে No, I don’t have any previous passport/ handwritten passport অপশনটি সিলেক্ট করুন।
এখন নিচে ‘Do you have passport for others country’ অপশন দেখতে পাবেন এবং তার নিচে দুটি অপশন পাবেন। যেমন:
- No, I don’t have
- Yes, I have another passport
এখন আপনারা যদি অন্য কোন দেশের পাসপোর্ট থাকে। তাহলে Yes, I have another passport অপশনে ক্লিক করুন। আর আপনার যদি অন্য কোন দেশের পাসপোর্ট না থাকে। তাহলে No, I don’t have অপশনে ক্লিক করুন। তারপর নিচে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বরটি বসাতে হবে।
তাহলে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী নম্বরটি সঠিকভাবে লিখুন এবং Save and continue লেখাটিতে ক্লিক করুন। এখন পরবর্তী অপশনে আপনাকে আপনার Father’s and mother’s তথ্য দিতে হবে।
Step 08: Parental Information
তাহলে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী আপনার পিতা এবং মাতার তথ্য লিখুন। এখন আপনার পিতা এবং মাতার তথ্য বসানো হয়ে গেলে স্ক্রোল করে নিচে নামুন। তাহলে সেখানে legal guardian অপশন দেখতে পাবেন।
এখন আপনার যদি legal guardian থাকে। তাহলে legal guardian তথ্য দিয়ে নিম্নের অপশন গুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন। যেমন:
- legal guardian Full Name
- Profession
- Nationality and
- Ministry of hours affairs order number
তাহলে আপনি আপনার legal guardian তথ্য দিয়ে অপশন গুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন। আর আপনার যদি legal guardian না থাকে। তাহলে Not applicable অপশনে টিক চিহ্ন দিয়ে save and continue লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে Spouse information অপশনে নিয়ে যাবে।
Step 09: Spouse Information
এখানে আপনাকে Marital status সিলেক্ট করতে হবে। এখন আপনি যদি Single হয়ে থাকেন। তাহলে Single সিলেক্ট করুন। আর আপনি যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার স্বামী অথবা স্ত্রীর তথ্য দিয়ে অপশন গুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন এবং নিচে থেকে save and continue লেখাটিতে ক্লিক করুন।
Step 10: Emergency Contacts
এখন পরবর্তী অপশনে আপনাকে Emergency contacts সিলেক্ট করতে হবে। অর্থাৎ, আপনার অনুপস্থিতে আপনার সাথে কিভাবে পাসপোর্ট অফিস থেকে যোগাযোগ করবে। তাহলে আপনি আপনার Emergency contacts টি দিয়ে দিন।
তারপর নিচে Emergency contacts দেওয়া ব্যক্তির তথ্য দিয়ে অপশন গুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন। এখন সকল অপশন সঠিকভাবে বসানো হয়ে গেলে continue লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পাসপোর্ট অপশনে নিয়ে যাবে।
Step 11: Select Passport Options
এখানে আপনি ৪৮ পেইজের পাসপোর্টের দুটি ভেলিডিটি দেখতে পাবেন। এখন আপনি যদি
৪৮ পেইজের পাসপোর্ট ৫ বছরের জন্য নিতে চান। তাহলে আপনাকে ৪,২০২৫ টাকা দিতে হবে। আর আপনি যদি ৪৮ পেইজের পাসপোর্ট ১০ বছরের জন্য নিতে চান। তাহলে আপনাকে ৫,৭৫০ টাকা দিতে হবে।
তাহলে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী পাসপোর্ট এর অপশন সিলেক্ট করুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি ৪৮ পেইজের পাসপোর্ট ১০ বছরের জন্য নিতে চাচ্ছেন। তাহলে ‘48 page 5750’ অপশনটি সিলেক্ট করুন। তারপর নিচে থেকে Save and continue লেখাটিতে ক্লিক করুন।
তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে পাসপোর্ট ডেলিভারির দুটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- Regular delivery and
- Express delivery
এখন আপনি যদি Regular delivery মাধ্যমে আপনার পাসপোর্টে নিতে চান। তাহলে আপনি ১৫ ওয়ার্কিং ডেসের ভিতরে আপনার পাসপোর্টটি পেয়ে যাবেন এবং আপনাকে ৫৭৫০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে। আর আপনি যদি Express delivery মাধ্যমে আপনার পাসপোর্টটি নিতে চান। তাহলে আপনাকে ৮০৫০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম ২০২৫
তাহলে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাসপোর্ট ডেলিভারির অপশন সিলেক্ট করুন এবং নিচে থেকে save and continue লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে আপনার সকল ডিটেলস A to Z দেখতে পাবেন।
এখন আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হলো: এখানে আপনার দেওয়া সকল information সঠিক রয়েছে কিনা সেটি চেক করতে হবে। এখন সকল তথ্য যদি সঠিক থাকে তাহলে নিচের বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে ‘confirm and proceed to payment’ লেখাটিতে ক্লিক করুন।
তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখান থেকে আবারোও ‘confirm and proceed to payment’ লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তীভাবে নিয়ে যাবে এবং সেখানে আপনার অ্যাপ্লিকেশন সামারিটি দেখতে পাবেন।
এখন স্ক্রোল করে নিচে নামুন তাহলে আপনাকে পেমেন্ট করার অপশন দেখতে পাবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করার পরে পেমেন্ট করতে হয়।
ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন পেমেন্ট পরিশোধ পদ্ধতি
ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন পেমেন্ট করার জন্য স্ক্রোল করে নিচে নামুন। তাহলে পেমেন্ট করার জন্য দুটি পেমেন্ট অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- Online payment and
- Offline payment
আপনি যদি অনলাইন পেমেন্ট করেন। তাহলে আপনাকে সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে পেমেন্ট করতে হবে। আর আপনি যদি অনলাইনে মাধ্যমে পেমেন্ট করেন। তাহলে আপনি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে online payment করতে পারবেন।
এখন অনলাইন পেমেন্ট করার জন্য online payment অপশনে ক্লিক করুন এবং নিচে থেকে Continue লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে waiting for Ekpay লেখাটি চলে আসবে।
এখন আপনার সামনে ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট গেটওয়ে দেখতে পাবেন। যেমন:
- Mobile banking
- Card
- Internet banking and
- Wallet
উপরে উল্লেখিত যেকোনো একটি অপশন ব্যবহার করে আপনি ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন পেমেন্ট করতে পারবেন। তাহলে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী পেমেন্ট গেটওয়ে সিলেক্ট করুন। উদাহরণস্বরূপ, কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করার জন্য কার্ড অপশন সিলেক্ট করুন। তাহলে বিভিন্ন ধরনের কার্ড চলে আসবে।
এখন আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী কার্ড সিলেক্ট করুন এবং নিচের বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Pay৳ …. লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে আপনার কার্ডের ইনফরমেশন দিতে হবে।
তাহলে আপনি আপনাকে আগের ইনফরমেশন অনুযায়ী উপরে উল্লেখিত অপশন গুলো সঠিকভাবে লিখুন এবং pay লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং আপনার মোবাইল নম্বর একটি ভেরিফিকেশন কোড যাবে। এখানে আপনাকে আপনার মোবাইল থেকে ভেরিফিকেশন কোডটি বসাতে হবে।
তাহলে ভেরিফিকেশন কোডটি বসানো হয়ে গেলে সাবমিট লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার পেমেন্ট সম্পন্ন হবে এবং আপনার সামারিটি ওপেন হবে। এখন আপনি স্ক্রোল করে নিচে নামলে payment status অপশনে paid লেখাটি দেখতে পাবেন।
এখন আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হলো: Print Summary অপশন ক্লিক করে আপনার সামারিটি প্রিন্ট করে নিতে হবে। এখন আপনি নিচে থেকে ‘download application form for printing’ লেখাটিতে ক্লিক করে আপনার অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটি ডাউনলোড করতে হবে।
এখন এপ্লিকেশন ফর্মটি ডাউনলোড করা হয়ে গেলে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হলো: আপনার চালানোর কপিটি ডাউনলোড করতে হবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে চালান কপিটি ডাউনলোড করতে হয়।
ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন চালান কপি ডাউনলোড
ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন চালান কপি ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হলো: আপনার অনলাইন সামারি কপি থেকে online registration id কপি করতে হবে। তারপর E passport fees অপশনে ক্লিক করুন।
তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে নতুন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে। এখন আপনি সেখান থেকে Click Here লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে Ekpay অপশনে নিয়ে যাবে এবং সেখানে পূর্ববর্তী বিলাসসমূহ তিনটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- রাশি নম্বর
- মোবাইল নম্বর এবং
- পাসপোর্ট application ID
এখন আপনি পাসপোর্ট application ID অপশনটি সিলেক্ট করুন। তারপর নিচে আপনার ও আইডিটা লিখুন এবং ‘জমা দিন’ লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন চালান কপিটি চলে আসবে। এখন আপনি view লেখাটিতে ক্লিক করে আপনার অনলাইন চালান কপিটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
এখন আপনার আবেদনটি সম্পূর্ণ হওয়ার পরে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হলো: আপনার আবেদন ফরম, সামারি এবং চালান কপিটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। এখন তার সাথে প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্ট আপনাকে সংযুক্ত করতে হবে। যেমন: জন্ম নিবন্ধন, সার্ভিসের এস্টের প্রমাণকপত্র এবং স্কুল সার্টিফিকেট ইত্যাদি সংযুক্ত করতে হবে।
এখন আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হলো: উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্টগুলো আপনাকে ফটোকপি করে একটি ফাইল তৈরি করতে হবে। এখন ফাইলটি নিয়ে আপনাকে আপনার আবেদন করার সময় যে পাসপোর্ট অফিসের নাম এসেছে সেই পাসপোর্ট অফিসে চলে যেতে হবে।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে জমির নামজারি আবেদন ২০২৫
এখন পাসপোর্ট অফিস থেকে আপনার কাগজপত্রগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। এখন আপনার সকল কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকলে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এনরোলমেন্ট দিতে হবে। তারপর আপনার ডেলিভারি স্লিপটি নিয়ে আপনার বাসায় চলে আসতে হবে।
তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই আপনার কাছে আপনার একাউন্ট ভেরিফিকেশন করার জন্য এসবি পুলিশ ফোন করবে অথবা সরাসরি আপনার বাসায় এসবি পুলিশ আসবে। তখন আপনাকে বলবে বিদ্যুৎ বিল,ইউলিটি বিল, কিংবা ডেলিভারি স্লিপ ইত্যাদি ডকুমেন্ট গুলো আপনাকে নিয়ে এসবি পুলিশ থানায় যেতে বলবে অথবা সরাসরি পুলিশ আপনার সাথে দেখা করবে।
আপনার বাসায় এসে আপনার পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করবে। তারপর আপনার পাসপোর্টে প্রিন্ট হয়ে যাবে। আর যখন আপনার পাসপোর্টটি আপনার পাসপোর্ট অফিসে চলে আসবে। তখন আপনার মোবাইল নম্বরে একটি এসএমএস আসবে। এখন এসএমএস আসার পরে আপনার ডেলিভারি স্লিপ নিয়ে আপনি ই পাসপোর্টটি নিয়ে আসতে পারবেন।
আশা করি, আজকের পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন। কিভাবে হাতে থাকে স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করবেন। আবেদন কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে।
কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন পেমেন্ট করবেন এবং কিভাবে আপনি সঠিক নিয়মে ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করার পরে পুলিশ ভেরিফিকেশন করবেন ইত্যাদি। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।